Milad-মিলাদ, তাওয়াল্লুদ, 

 


اعوذ بالله من الشيطان الرجيم

بسم الله الرحمن الرحيم


لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِّنْ أَنفُسِكُمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيصٌ عَلَيْكُم بِالْمُؤْمِنِينَ رَءُوفٌ رَّحِيمٌ


 فَإِن تَوَلَّوْا فَقُلْ حَسْبِيَ اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ ۖ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ


(সূরা তাওবা, আয়াত ১২৮, ১২৯)


مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَٰكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ ۗ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا


إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ ۚ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا 


( সূরা আহযাব, আয়াত ৫৬)


তারপরঃ


اللهم صل على محمد. كما صليت على ابراهيم وعلى ال ابراهيم. انك حميد مجيد. اللهم بارك على محمد. وعلى ال محمد. كما باركت على ابراهيم وعلى ال ابراهيم. انك حميد مجيد


তাওয়াল্লুদ”


نحمد و نصلي علي رسوله الكريم و اله واصحابه اجمعين


ولما تم من حمله صلي الله عليه وسلم ستة اشهر الاقوال المروية، توفي بلمدينة الشريفة ابوه عبد الله، وكان قد اجتاز باخواله بني عدي من الطاءفة النجارية، ومكث فيهم شهرا سقيما يعانون سقمه و شكواه ، ولما تم من حمله صلي الله عليه و سلم علي الراجح تسعة اشهر قمرية ، وان للزمان ان ينجلي عنه صداه ، حضرت امه في نسوة من الحظيرة القدسية ، واخذها المخاض ، فولدته النبية صلي الله عليه و سلم نورا يتلا لاسناه


মিলাদ শরীফ সম্পর্কে হাদিসে কিভাবে এসেছে ?

উত্তরঃ প্রসিদ্ধ হাদিসে বর্নিত হাযরাত উম্মুল মুমিনিন আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) বর্ননা করেছেন যে রসুল পাক এবং আবু বকর সিদ্দিক আমার নিকট নিজ নিজ মিলাদ শরীফের বর্ননা করেছেন (ইমাম বায়হাকী এই বর্ননাটিকেকে হাসান বলেছেন) — আল যামুল কাবীর লিত তাবরানি ১ম খন্ড ৫৮ পৃ, মযমাঊল যাওয়াঈদ ৯ম খন্ড ৬৩ পৃঃ হুযুর পাক (সঃ) নিজের মিলাদ বর্ননা করে বলেন অবশ্যই আমি আল্লাহর নিকট খাতিমুল নব্বীইন নির্বাচিত হয়েছি ঐ সময় যে সময় খাতিমুল নব্বীইন নির্বাচিত হয়েছি ওই সময় যে সময় আদাম মাটি ও পানিতে মিশ্রিত অবস্থায় ছিলেন। আমি তোমাদেরকে আবারো প্রাথমিক অবস্থার খবর দিচ্ছি, আমি হচ্ছি হাযরাত আদাম (আঃ) এর দুয়া ও হযরত ঈসা (আঃ) এর খুশির বার্তা, আমার মাতার স্বপ্ন যা তিনি আমার জন্মের সময় দেখেছিলেন যে উনার মধ্য হতে একটি নূর নিগর্ত হয়েছে যার দ্বারা শাম দেশের বহু মহল রওশন হয়ে গেছে । যেসকল কিতাবে উপরের হাদিসটি বর্নিত হয়েছেঃ মিশকাতুল মাসাবিহ ৫১৩ পৃঃ, তারিখে মাদিনা ও দামাশক ইবনে আশাকির ১ম খণ্ড ১৬৮ পৃ, কানযুল উম্মাল ১১খন্ড ১৭৩ পৃঃ, মুসনাদে ইমাম আহমদ ৪ খন্ড ১৬১ পৃ, আল মুজমাল ক্বাদির ১৮ খন্ড ২৫৩ পৃঃ, মুসনাদ আফযার হাদিস নং ২৩৬৫, তাফসির দুররে মানসুর ১ম খন্ড ৩৩৪ পৃঃ, মাওয়ারেদুল জাম্মান ১ খন্ড ৫১২ পৃঃ, সহীহ ইবনে হাব্বান ৯ম খন্ড ১০৬ পৃঃ, আল মুস্তাদ্রাক লিল হাকিম ৩য় খণ্ড ২৭ পৃঃ , আল বেদায়া অয়ান নেহায়া ২য় খণ্ড ৩২১ পৃঃ, মাযমাউল যাওয়ায়েদ ৮ম খন্ড ৪০৯ পৃ প্রভৃতি হযরত মুতাল্লিব বনর্না করেছেন যে, হযরত আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু রসুল বারগাহে কিছু প্রশ্ন নিয়ে হাযির হলেন, প্রশ্ন করার পূর্বেই হুযুর মেম্বারের মধ্যে আরোহন করে বলেন- আমি কে তোমরা জানো কি ? সাহাবীগন বললেন, আপনি আল্লাহর রাসূল । আপনার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক । তখন রাসুলুল্লাহ (সঃ) বললেন, আমি হচ্ছি আব্দুল্লাহর পুত্র এবং আব্দুল মুত্তালিবের পৌত্র মুহাম্মাদ (সঃ); আল্লাহ তা’আলা সৃষ্টিকুল সৃষ্টি করে আমাকে সর্বোত্তম সৃষ্টির অন্তর্ভূক্ত করেছেন । অতঃপর সৃষ্টিকুলকে দুটি দলে বিভক্ত করে আমাকে উত্তম দলে রেখেছেন । অতঃপর অনেক গোত্র সৃষ্টি করে আমাকে উত্তম গোত্রে সৃষ্টি করেছেন । অতঃপর আল্লাহ তা’আলা অনেক পরিবার সৃষ্টি করে আমাকে সর্বোত্তম পরিবারের অন্তর্ভুক্ত করে এবং স্বত্বাগতভাবেও সম্মানিত করেছেন । — জামে তীরমিযী ২য় খন্ড ২০১ পৃঃ, মুসনাদে ইমাম আহমদ ১ম খন্ড ৯ পৃঃ, দালায়েলুল নবুওত বায়হাকী ১ম খন্ড ১৬৯ পৃ, কানযুল উম্মাল ২য় খন্ড ১৭৫ পৃঃ



কিয়ামে আমরা কেন দাঁড়াই?


এ কথা সর্বজন বিদিত যে, মিলাদ শরীফের কিয়ামের মধ্যে মু’মিন মুসলমানগণ নবীজিকে সালাম প্রদান করেন। সালাম দেয়ার আদব কি? আসুন আমরা নবীজির হাদীস শরীফে দৃষ্টিপাত করি, যেমন বর্ণিত হয়েছে যে,

عَنْ اَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُسَلِّمُ الرَّاكِبُ عَلى المَاشِىِّ وَالْمَاشِىُ عَلى الْقَاعِدِ وَالْقَلِيْلُ عَلى الْكَثِيْرِ [متفق عليه ومشكاة المصابيح ـ صفحه ـ ৭৯৩] অর্থাৎ হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আরোহী ব্যক্তি পদব্রজে চলাচলকারীকে, পদব্রজে চলাচলকারী বসা ব্যক্তিকে এবং কম সংখ্যক লোক অধিক সংখ্যক লোককে সালাম প্রদান করবে। [বোখারী, মুসলিম ও মিশকাত শরীফ, পৃ. ৩৯৭] উক্ত হাদীসের اشارة النص দ্বারা বুঝা যায় যে, কোন মুসলমানকে সালাম দেয়ার আদব হলো দাঁড়িয়ে সালাম দেয়া। যেহেতু অন্য হাদীসে এসেছে- يُسَلِّمُ الْقَائِمُ عَلَى الْقَاعِدِ অর্থাৎ দাঁড়ানো ব্যক্তি সালাম প্রদান করবে বসা ব্যক্তিকে। এটা নবীজি উম্মতকে শিক্ষা প্রদান করেছেন।

উক্ত দুই হাদীসের মর্মে বুঝা যায় যে, কোন মু’মিন মুসলমানকে বসে সালাম দেয়া বেয়াদবী। সুতরাং যে নবী আমাদেরকে উক্ত আদব শিক্ষা দিলেন তাঁকে বসে সালাম দেয়া কি আদবের মধ্যে গণ্য হবে? নাকি বেয়াদবী?



না’রায়ে তাকবীর! আল্লাহু আকবার! না’রায়ে রিসালাত! ইয়া রসূলাল্লাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সমগ্র সৃষ্টি জগতে সর্বোচ্চ আনন্দের ফোয়ারা নিয়ে ১৪০০ বছর আগে জমিনে তাশরীফ এনেছিলেন পবিত্র ১২ ই রবিউল আউয়াল শরীফে। 


সেই খুশির ধারা আজো বহমান তাই এই সুমহান ১২ ই রবিউল আউয়াল শরীফ হচ্ছে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ। এই সুমহান দিন ঈদ পালন করেন স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আ’লামীন নিজেই। ঈদ পালন করেন সকল ফিরিশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা। সৃষ্টি জগতের সকল সৃষ্টি আজ আনন্দে আত্মহারা।সৃষ্টি জগৎ সেজেছে আজ নতুন সাজে, স্বগতম জানাতে পবিত্র এই দিনকে। রহমতের সকল দরজা আজও উন্মুক্ত। নিয়ামতের খাজিনা আজও অবারিত ধারায় প্রবাহমান। সুবহানাল্লাহ্ !!


ঈদে বিলাদতে সাইয়্যিদুল আম্বীয়ায়ি ওয়াল মুরসালীন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আজও আমরা গুনাহগার উম্মতরা অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে খুশি প্রকাশ করি করবো করে যাবো। ছলাত সালামে মুখোরিত হবে আমাদের দুনিয়া। হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান দীদার প্রার্থী হবো। একটু নেকদৃষ্টি সন্তুষ্টির কামনায় দু হাত পেতে রইবো………।


এই পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে আপনাদের সকলের খেদমতে এক বিশেষ হাদীয়া পেশ করছি। সেটা হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত পবিত্র মীলাদ শরীফ। সম্পূর্ণ মীলাদ শরীফ এর নিয়ম বাংলায় উচ্চারণ সহ দেয়া হলো। সকলেই সর্বদা পাঠ করার চেষ্টা করবেন, এবং এর উসীলায় দোয়া করবেন। এই মিলাদ শরিফ পাঠের পরে সকল দোয়া কবুল হবে, কেউ নিয়ামত প্রাপ্তি থেকে মাহরূম হবে না ইনশাআল্লাহ্‌ !


পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করার তরতীব বা নিয়মঃ


প্রথমে


اعوذ بالله من الشيطان الرجيم


بسم الله الرحمن الرحيم


يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِّمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ


বাংলা উচ্চারণঃ ইয়া আইয়্যুহান্না-ছুকাদ জা-আতকুম মাও’ইজাতুম মির রাব্বিকুম ওয়া শিফাউল লিমাফিস সুদূরি ওয়া হুদাওঁ ওয়া রাহমাতুল্লিল মু’মিনিন। কূল বি ফাদলিল্লা-হি ওয়া বি রাহমাতিহী ফাবিযা-লিকা ফালইয়াফরাহূ হুওয়া খাইরূম মিম্মা ইয়াজমা’ঊন।


لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِّنْ أَنفُسِكُمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيصٌ عَلَيْكُم بِالْمُؤْمِنِينَ رَءُوفٌ رَّحِيمٌ


 فَإِن تَوَلَّوْا فَقُلْ حَسْبِيَ اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ ۖ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ


বাংলা উচ্চারণঃ আউযু বিল্লাহিমিনাশ শায়তানির রযীম। বিসমিল্লাহির রাহমানির রহীমঃ লাকাদ জা’আকুম রসূলুম মিন আনফুসিকুম আযীযুন আলাইহি মা আনিত্তুম হারীছুন আলাইকুম বিল মু’মিনিনা রউফুর রহীম। ফাইন তাওয়াল্লাও ফাক্বুল হাসবি আল্লাহু লা’ ইলাহা ইল্লাহু। আলাইহি তাওয়াককালতু , ওহুয়া রব্বুল আরশীল আযীম। (সূরা তাওবা শরিফ, আয়াত শরীফ ১২৮, ১২৯)


مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَٰكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ ۗ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا


বাংলা উচ্চারণঃ মা কানা মুহম্মাদুন আবা আহাদীম মির রীজালিকুম ওলাকির রসূল্লাল্লাহি ওয়া খতামান নাব্যিয়িন। ওয়া কা’নাল্লাহু বিকুল্লি শাইয়্যিন আলীমা। (সূরা আহযাব শরিফ আয়াত শরিফ ৪০)


إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ ۚ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا


বাংলা উচ্চারণঃ ইন্নাল্লাহা ওয়া মালা’ইকাতাহু ইয়ুছল্লুনা আলান নাবিয়্যি। ইয়া’ আইয়্যুহাল্লাযীনা আমানু ছল্লু আলাইহি ওয়া সাল্লীমু তাসলীমা। ( সূরা আহযাব শরিফঃ আয়াত শরিফ ৫৬)



اعوذ بالله من الشيطان الرجيم


بسم الله الرحمن الرحيم


نحمد و نصلي و نسلم علي رسوله الكريم و اله واصحابه اجمعين


بسم الله الرحمن الرحيم


ولما تم من حمله صلي الله عليه وسلم ستة اشهر الاقوال المروية، توفي بلمدينة الشريفة ابوه عبد الله، وكان قد اجتاز باخواله بني عدي من الطاءفة النجارية، ومكث فيهم شهرا سقيما يعانون سقمه و شكواه ، ولما تم من حمله صلي الله عليه و سلم علي الراجح تسعة اشهر قمرية ، وان للزمان ان ينجلي عنه صداه ، حضرت امه في نسوة من الحظيرة القدسية ، واخذها المخاض ، فولدته النبية صلي الله عليه و سلم نورا يتلا لاسناه


বাংলা উচ্চারনঃ আউযু বিল্লা হিমিনাশ শায়তানির রযীম। বিসমিল্লাহির রাহমানির রহীমঃ নাহমাদুহূ ওয়া নুছল্লী ওয়া নাসাল্লিমু আলা রসূলিহিল কারীম ওয়া আলা আলিহী ওয়া আছহাবিহী আজমাঈন।


বিসমিল্লাহির রহমানির রহীমঃ ওয়া লাম্মা তাম্মা মিন হামলিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা সিত্তাতু আশহূরিন আলা মাশহুরিল আক্বওয়ালিল মারবিয়্যাহ। তুউফফিয়া বিল মাদীনাতিল মুনাওয়ারাতিশ শরীফাতি হাদ্বারাত যাবিহুল্লাহিল মুকাররম আবুহু ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। ওয়া কানা কাদিজতাযা বি আখওয়ালিহী বানী আদিয়্যিম মিনাত ত্বয়িফাতিন নাজ্জারিয়্যাহ। ওয়া মাকাছা ফীহিম শাহরাং সাক্বীমাইঁ ইউয়ানূনা সুক্বমাহূ ওয়া শাকওয়াহ।


ওয়া লাম্মা তাম্মা মিন হামলিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আলার রাজিহি তিসয়াতু আশহূরিং ক্বামারিয়্যাহ। ওয়া আনা লিয যামানি আইঁ ইয়াংজালিয়া আনহু ছদাহ। হাদ্বারাত সাইয়্যিদাতা নিসায়িল আলামীনা উম্মাহূ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা লাইলাতা মাওলিদিহী হাদ্বারাত উম্মুল বাশারি আলাইহাস সালাম ওয়া হাদ্বারাত উম্মু যাবীহিল্লাহিল উলা ওয়াছ ছানিয়াতু আলাইহাস সালাম ওয়া হাদ্বারাত রব্বাতু কালীমিল্লাহি আলাইহাস সালাম ওয়া হাদ্বরাত উম্মু রূহিল্লাহি আলাইহাস সালাম ফী নিসওয়াতিম মিনাল হাযীরাতিল কুদসিয়্যাহ। ওয়া আখাযাহাল মাখাদ্ব ফাওয়ালাদাতহু সাইয়্যিদাল মুরসালীন ইমামাল মুরসালীন খাতামান নাবিয়্যিন ওয়ান নূরাল মুজাসসাম হাবীবাল্লহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নূরাইঁ ইয়াতালা’লা উসিনাহ।


(তারপর সকলেই ক্বিয়াম শরীফ করবেন বা দাঁড়িয়ে মুহব্বতের সাথে নিম্নোক্ত ভাবে সালাম পেশ করবেন এবং প্রতিবার সালমের সাথে একটি করে ক্বাছীদা শরীফ পড়বেন)


( অতঃপর ছওয়াব রেসানী করে দোয়া মুনাজাত করতে হবে )

ছওয়াব রেসানী করার নিয়ম:-

 


১) ইস্তিগফার শরীফ তিনবার


( আসতাগফিরুল্লাহা রব্বি মিন কুল্লি জাম্বিউঁ ওয়াতুবু ইলাইহি ……)


২) আউযুবিল্লাহ শরীফ ও বিসমিল্লাহ শরীফ সহ সূরা ফাতিহা শরীফ একবার।


৩) বিসমিল্লাহ শরীফ সহ সূরা ইখলাছ (কুল হুয়াল্লাহ শরীফ) তিনবার।


৪) দরূদ শরীফ পাঁচ বার


দরূদ শরীফ – আল্লাহুম্মা ছল্লী আলা সাইয়্যিদিনা নাবিয়্যিনা হাবীবিনা শাফিয়্যিনা মাওলানা ওয়াসিলাতি ইলাইকা আলিহি ওয়া সাল্লিম। “


অতপর হাত উঠিয়ে অত্যন্ত মুহব্বতের সাথে দৃঢ় চিত্তে হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উসীলা দিয়ে দোয়া করতে হবে। এবং দোয়ার শুরুতে, মাঝে এবং শেষে অবশ্যই দরূদ শরীফ পাঠ করতে হবে।


আমাদের অন্তরের সকল নেক দোয়া নেক আরজী কবুল করে নিন !!


আমীন ! আমীন ! আমীন !


পরিশেষে এই বিশেষ একটি ক্বওল শরীফই সকল মুসলমানের জন্য যথেষ্ট, হযরত আলি কাররামাল্লাহু ওয়জহাহু আলাইহিস সালাম বলেন-


مَنْ عَظَّمَ مَوْ لِدِ النَّبِى صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ وَكَانَ سَبَبَا لِقرا ته لا يَخرج مِنَ الدُّنْيَا اِلا َّبِالاِ يْمَانِ وَيَدْخُلُ الجَنَّهَ بِغَيْرِ حِسَاب


অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনাকে সম্মান করবে হবে সে ঈমানের সাথে মৃত্যুবরণ করবে এবং বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে”।


দলীল-


√ আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৮।


না’রায়ে তাকবীর ! আল্লাহু আকবার ! না’রায়ে রিসালাত ! ইয়া রসূল্লাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম !! সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মুবারক হো ! ঈদে আযম মুবারক হো ! ঈদে আকবার মুবারক হো !


বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ পোষ্ট টা পড়ে যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্স এ আপনার মতামত জানাবেন আর আপনার বন্ধু বান্দব দের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন্না, আসসালামু আলাইকুম, ফি আমানিল্লাহ !!! আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সঠিক বুজ দান করুন।